লক্ষ্মীপুর: করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে খোলা হয়েছে পৃথক ওয়ার্ড। কিন্তু এ করোনা ওয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
হাসপাতালের পরিত্যক্ত ভবনের এই ওয়ার্ডের ভিতরে ও বাইরে দেখা গেছে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ।
এমনকি ওয়ার্ড কক্ষের ভেতরে কুকুর আসা-যাওয়া করছে। এতে করে কুকুরের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে জানা গেছে, সদর হাসপাতালের দীর্ঘদিনের পরিত্যক্ত একটি ভবনে ঢিলেঢালাভাবে করোনা ওয়ার্ড চালু করা হয়।
ভবনে কোন নিরাপত্তাকর্মী নেই, এমনকি মূল ফটকও(কলাপসিবল গেট) ভাঙা। করোনারোগীদের উচ্ছিষ্ট খাবার পড়ে রয়েছে সিঁড়ির নিচে।আর সেগুলো খেতে মূল ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করছে কুকুর। এমনটা প্রায়ই হচ্ছে বলেও অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের।
স্থানীয়রা বলছেন, এসব কুকুর সেখান থেকে খাবার খেয়ে পাড়া-মহল্লায় যাচ্ছে, এতে করে ওইসব এলাকায়ও করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় হাসপাতাল এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে। আমিনুর রহমান নামে একজন বলেন, সবখানে শুনেছি করোনা আক্রান্ত রোগীদের ওয়ার্ড রাখতে হয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। অথচ এখানে তার উল্টো।
ময়লা আবর্জনা ওয়ার্ডের ভিতরে ও বাইরে একাকার। রাতের বেলায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য বারান্দাতেই খাবার রেখে যায় হাসপাতালের লোকজন।
রোগীরা খাবার নিতে দেরি হলে অনেক সময় কুকুর ওইসব খাবার খেয়ে নেয়। আবার তাদের পরিত্যক্ত খাবার কুকুর খেয়ে জনম্মুখে বিচরণ করে। এতে কুকুরের সংস্পর্শে হাসপাতাল এলাকায় যাতায়াত করা ব্যাক্তিরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নজর নেই।
এ ব্যাপারে করোনা ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা জানান, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের দিয়ে করোনা ওয়ার্ডের পরিষ্কার করা হয়। তবে মূল ফটক ভাঙার কারণে কুকুর ভেতরে প্রবেশ করতে পারে।
এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে তারা নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ওয়ার্ডটি পরিত্যক্ত ভবনে করা হয়েছে।
মূল কলাপসিবল গেট ভাঙা হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে গণপূর্ত বিভাগকে গেইটসহ সবকিছু ঠিক করতে বলা হয়েছে। দ্রুত সমস্যা সামাধান হবে বলেও জানান তিনি।
নিজস্ব প্রতিনিধি/লক্ষ্মীপুর/এমআর ” ”> ” ”>
