লক্ষ্মীপুর: জেলায় স্কুলছাত্রী হিরামনিকে(১৪) ধর্ষন ও খুনের ঘটনায় ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভুল ছবি ভাইরাল হয়েছে।
এছাড়াও অতি উৎসাহীরা বিকৃতভাবে ভুল তথ্যে কল্পকাহিনী বানিয়ে ইউটিউবে একাধিক ভিডিও প্রচার করছে।
এতে করে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে ভুল ম্যাসেজ যাওয়ার পাশাপাশি, ঘটনায় জড়িত প্রকৃত খুনীরা পার পেয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিহতের স্বজন ও বিভিন্ন সূত্রমতে, শুক্রবার (১২ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামে নিজ ঘরে হিরামনিকে একা পেয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে দূর্বৃত্তরা। সে একই গ্রামের হারুনুর রশিদের মেয়ে ও পালেরহাটে পাবলিক হাই স্কুলের নবম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী।
ক্যান্সারে আক্রান্ত বাবাকে নিয়ে তার মা ও ছোট দুই ভাইবোন ঢাকা হাসপাতালে ছিল। হিরামনি শুক্রবার সকালে নানার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আসলে ধর্ষন ও খুনের শিকার হয়।
এ নির্মম হত্যাকান্ডের পর জেলায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠে।
এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাৎক্ষনিক দু’জনকে আটক করে পুলিশ। তবে এখনো তাদের ঘটনায় জড়িতের সত্যতা মিলেনি।
এঘটনার দুই দিন পার হলেও রহস্য উদঘাটন হয়নি। পুলিশ বলছে, ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এরমধ্যে শনিবার সকাল থেকে ৪ যুবকের কোমরে দড়ি বাঁধা একটি গ্রুপ ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে, তাদেরকে হিরামনির খুনী ও ধর্ষক দাবি করা হয়। পরে ছবিটি ভাইরাল হয়।
ছবির ৪ জনসহ মোট আট যুবককে গত ১০ জুন গভীর রাতে সদরের দক্ষিন হামছাদি ইউনিয়নের পালেরহাট উত্তরবাজার থেকে আটক করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে এক যুবককে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ১১ তারিখে লক্ষ্মীপুর থানায় মামলা হয়। যার নং ১১।
এছাড়াও কয়েকজন কথিত ইউটিউবার অতি উৎসাহী হয়ে বিকৃতভাবে ভুল তথ্যে কল্পকাহিনী বানিয়ে ইউটিউবে একাধিক ভিডিও প্রচার করছে।
এতে করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেখা দিয়েছে। একদিকে, হিরামনির বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে জেলার বাসিন্দারা এ হত্যার প্রতিবাদে এবং অপরাধীদের গ্রেফতার দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন সরব রয়েছেন, তখন এ ধরনের অপপ্রচার হত্যাকারীদের আড়াল করার হীন প্রয়াস বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
নিজস্ব প্রতিনিধি/লক্ষ্মীপুর/এমআর ” ”> ” ”>
