লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ নোমানকে জাতীয় পার্টি থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। তিনি জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ছিলেন।
শনিবার (২৭ জুন) রাজধানী বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের বর্তমান এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।
মোহাম্মদ নোমানের অব্যাহতিপত্রে স্বাক্ষর করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। এই আদেশ এরই মধ্যে কার্যকর হয়েছে। কিন্তু কী কারণে নোমানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে চিঠিতে তা উল্লেখ করা হয়নি।
বহিষ্কারের চিঠিতে বলা হয়, পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মোহাম্মদ নোমানকে জাতীয় পার্টির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ ও পদবী থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১(১)-এর ‘ক’ ধারা মোতাবেক তাকে অব্যাহতি দেয়া হলো।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের হয়ে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর, সদর আংশিক) আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতা মোহাম্মদ নোমান। দশম সংসদ নির্বাচনেও ওই আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
কিন্তু একাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েকদিন আগে তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। ওই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল।
অভিযোগ রয়েছে, নোমানকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন পাপুল। এ সুযোগে তিনি এমপি নির্বাচিত হন।
এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে লক্ষ্মীপুরসহ সারা দেশে। বর্তমানে অর্থ ও মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতের কারাগারে বন্দি আছেন সাংসদ পাপুল।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাজী পাপুল ও নোমানকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে। সংবাদ প্রকাশিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। ঠিক এ সময়ে সাবেক সাংসদ নোমানকে নিজ দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
প্রবাস সময়/এনইউ