করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বাংলাদেশে যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিলো, তা আর বাড়ানো হচ্ছে না। আগামী ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সবাই ১৩ টি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে অফিসে কাজ করবেন।
দেশে সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং গণপরিবহণ আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
বুধবার (২৭ মে) গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি জানান, ৩০ মে’র পর থেকে দেশে সাধারণ ছুটি আর বাড়ানো হবে না। তবে ৩১শে মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
গণমাধ্যমকে তিনি আরও জানান, সাধারণ ছুটি না বাড়লেও ১৫ জুন পর্যন্ত বাস, রেল ও লঞ্চসহ গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ক্লাস ও দূরশিক্ষণ চলবে।
প্রাইভেটকার জাতীয় যানবাহন ও ব্যক্তিমালিকানাধীন সব ধরনের যানবাহন চলবে। নিজ ব্যবস্থায় বিমান চলাচল করতে পারবে। সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েত বন্ধ থাকবে।
সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান নিজস্ব নিয়মে সীমিত আকারে চালু থাকবে। বয়স্ক এবং গর্ভবতী মহিলারা অফিসে আসবে না।
রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অগের মতো জনসাধারণের চলাচল সীমিত থাকবে। হাটবাজার, দোকানপাট বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চালু রাখতে সীমিত পরিসরে সব অফিস খোলা রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি জানান, নাগরিক জীবনের সুরক্ষার জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে। জেলার প্রবেশমুখে চেকপোষ্ট থাকবে।
বাংলাদেশে করোনারোগী শনাক্ত হওয়ার আগ থেকে গত ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। সাত দফা বাড়িতে এই ছুটি শেষ হচ্ছে আগামী ৩০শে মে।
দুই মাসের বেশি সময় সরকারী-সেবরকারী দফতরগুলো সাধারণ ছুটির আওতায় ছিলো। তবে ব্যাংকসহ জরুরী সেবা প্রদানকৃত দফতরগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে তাদের সেবা অব্যাহত রাখে।
প্রবাস সময়/এনইউ ” ”> ” ”>
