মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে অস্ত্রেরমুখে জিম্মী করে মুক্তিপন না পেয়ে লক্ষ্মীপুরের কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র জসিম উদ্দিনকে (২১) নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
রোববার রাত ৮টার দিকে তাকে লক্ষ্মীপুরের সিমান্তবর্তী নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রমনীর হাট এলাকার জাহানারাবাদ গ্রামে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।
নিহত জসিম উদ্দিন লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইচএসসির শিক্ষার্থী ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
সোমবার সকালে এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে বেগমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এরআগে রাতে এ ঘটনায় এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলেজ ছাত্র জসিম উদ্দিন তার বাবার ওষুধের জন্য চন্দ্রগঞ্জ বাজারে যায়। এসময় কে বা কারা তাকে লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালীর সিমান্তবর্তী নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমীন বাজারে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়।
পরে সেখানে তাকে জাবেদ, মানিক, রাহাত ও বাবুলসহ কয়েক সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে রমনীর হাটের জাহানারাবাদ তুলে নিয়ে যায়। পরে জসিমের পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করে।
জসিমের হতদরিদ্র পরিবার সন্ত্রাসীদের চাহিদামতো মুক্তিপনের টাকা দিতে পারেনি। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই সন্ত্রাসীরা তাকে জাহানারাবাদে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে।
পরে খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে এবং এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নারীসহ দু’জনকে আটক করে।
জসিমের জেঠাতো ভাই শাহাজউদ্দিন দুলাল জানান, তার চাচাতো ভাইকে এক নারী মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। পরে সন্ত্রাসীরা তাকে প্রকাশ্যে অস্ত্রেরমুখে তুলে নিয়ে মুক্তিপন দাবি করে। মুক্তিপন না দেয়ায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় তিনি জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বেগমগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, পিংকি নামের একটি মেয়ে ওই ছাত্রকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। এ ঘটনায় জসিমের বাবা আবুল কাশেম বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় পিংকির মা রৌশন আরাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
নিজস্ব প্রতিনিধি/লক্ষ্মীপুর/এমআর