দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গের নাইজেল এলাকায় ডাকাতের গুলিতে আহত প্রবাসী বাংলাদেশি আবদুল হক মারা গেছেন। গত সোমবার ৪ জানুয়ারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এরআগে গত ৩ জানুয়ারি মধ্যরাতে ডাকাতের গুলিতে তিনি গুরুতর আহত হন। একই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন তার ভাগ্নেও।
এদিকে আবদুল হক নিহতের ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
প্রবাসীরা জানায়, নতুন বছরের শুরুতেই (জানুয়ারি মাসে) দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে এখন পর্যন্ত চার বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এছাড়া করোনায় ৭ জন মারা গেছেন। সবমিলিযে শোকে কাতর বাংলাদেশি কমিউনিটি।
গত ৩ জানুয়ারী জোহানসবার্গের নাইজেল এলাকায় ডাকাতদল আবদুল হক ও তার ভাগিনাকে গুলি করে তর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল ও অর্থ লুটে নেয়। পরে ৪ জানুয়ারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুল মারা যায়। তার ভাগিনা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আবদুল ১৩ বছর ধরে আফ্রিকা প্রবাসী। এরমধ্যে প্রায় এক যুগ তিনি জোহানসবার্গের নাইজেল এলাকায় ছিলেন।
আব্দুল হকের মৃত্যুতে প্রবাসীরা বলছেন, এক যুগ ধরে আব্দুল হককে চিনতেন তারা। কখনোই তিনি কারও সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে জড়াতেন না। নিপাট ভদ্রলোক ছিলেন আব্দুল হক। সবার প্রিয় আব্দুল হকের মৃত্যু তাই মানতে পারছেন না প্রবাসীরা।
প্রবাস সময়/এমআর
