নিজস্ব প্রতিনিধি: ভয়াল মেঘনা নদী কেড়ে নিয়েছে সর্বস্ব। নদী ভাঙ্গনের করাল গ্রাসে সব হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তার পাশের ঝুপড়ি ঘরে।
কারো ঠাঁই হয়েছে অন্যের আশ্রয়ে, নয়তো ভাড়া করা জায়গায়। কেউ কেউ আবার ঠিকানাহীন হয়ে ঘুরছেন এখানে ওখানে। মানবেতর জীবন, তবুও যে বাঁচতে হবে।
ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা নিরন্তর। কারন, জন্মই শিখিয়েছে উপকূলের উত্তাল নদী-জলে বেঁচে থাকার সংগ্রাম।
কিন্তু বিধিবাম, বেঁচে থাকার এ সংগ্রামকে রুখে দিয়েছে করোনাভাইরাস। এখন কর্মহীন, এসব ভাঙ্গন কবলিত খেটে-খাওয়া মানুষ। যাকে বলে মরার উপর খাড়ার ঘা।
বলছিলাম, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি-কমলনগরের নদী ভাঙ্গকবলিত কয়েক হাজার মানুষের কথা।
একসময় পুকুরভরা মাছ আর ঘোলাভরা ধান থাকলেও এখন তারা নিঃস্ব। ভিটে-মাটি, জায়গা-জমি হারা মানুষগুলোর চোখে মুখে কেবলই অন্ধকার।
করোনার এ সঙ্কটকালে কর্মহীন এসব মানুষ। ক্ষুধায় প্রতিটি ক্ষণ দুর্বিষহ হয়ে উঠছে তাদের।
এদের অধিকাংশের ভাগ্যে জোটেনা সরকারের বরাদ্দের সহায়তা।সামাজিক সংগঠন বা ব্যক্তি উদ্যোগে যে ত্রাণ সামগ্রী পাচ্ছে, তা খুবই নগণ্য।
তাদের অভিযোগ, ভোটের আগে পাশে থাকার কথা দিলেও এখন করোনা দূযোর্গে তাদের পাশে নেই কেউ।
পবিত্র ঈদ উল ফিতর আসন্ন। এ ঈদকে ঘিরে বিত্তবানদের চলছে নানা আয়োজন।
অথচ, ভাঙ্গন কবলিত কর্মহীন এ মানুষগুলোর কাছে ঈদ বলে যেন কিছু নেই। আছে, রোজ এক বেলা ভাত না জোটার যন্ত্রণা।
সবার সহযোগিতায় ওদের জীর্ণঘরে ঈদের চাঁদের আলো উঁকি দেবে, একবেলা খাবার জুটবে; এমন প্রত্যাশা নদী ভাঙ্গন কবলিত এসব অসহায় পরিবারগুলোর।
ভিডিও দেখুন লিংকে … ” ”> ” ”>