মৃত্যুহার কমতে থাকায় ইতালি, স্পেনসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ লকডাউন আরও শিথিলের পদক্ষেপ নিয়েছে। রোববার ইতালিতে সবচেয়ে কম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ দিন পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১৪৫ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে দেশটি।
এটি বিগত কয়েকদিনের দৈনিক মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা থেকে অনেক কম, ২৭ মার্চ সেখানে ৯০০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছিল।
দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে লকডাউন জারি থাকার পর সোমবার থেকে বার, সেলুনসহ অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফের খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে ইতালিতে। তবে সব জায়গাতেই সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ চালাতে হবে।
স্পেন মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা বাইরে বিধিনিষেধ শিথিলের পদক্ষেপ নিয়েছে, ওইসব এলাকায় এখন থেকে সর্বোচ্চ ১০ জন লোক দলবদ্ধ হয়ে সাক্ষাৎ করতে পারবেন।
ইউরোপের অন্যান্য দেশের মধ্যে বেলজিয়াম সোমবার থেকে কঠোর শর্তাধীনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলার অনুমতি দিয়েছে।
পাশাপাশি পতুর্গাল, গ্রিস, ডেনমার্ক ও আয়ারল্যান্ডসহ আরও বেশি কয়েকটি দেশ লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
এদিকে করোনা লকডাউন তুলের নেয়ার দাবিতে জার্মানি, ব্রিটেন ও পোল্যান্ডে বিক্ষোভ করেছে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী।
এ বিক্ষোভ থেকে শতাধিক মানুষকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার লন্ডনের হাইড পার্ক, সাউদাম্পটন, কারডিফ, গ্রাসগো ও নটিংহামে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের বিধিনিষেধ অমান্য করে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ হয়।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে দ্বন্দ্বে গ্রেফতার হন বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের ভাই পিয়ার্স করবিনসহ ১৯ জন।
শনিবার জার্মানির স্টুটগার্টে ৫ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী জড়ো হন। ফ্রাঙ্কফুর্টে জড়ো হন প্রায় ১ হাজার ৫০০ ও মিউনিখে ১ হাজার বিক্ষোভকারী।
প্রবাস সময় /ডেস্ক নিউজ/এমআর ” ”> ” ”>