আবেগঘন ফেসবুক লাইভে কাঁদলেন ডা. ফেরদৌস

প্রকাশঃ

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ডা. ফেরদৌস খন্দকার। ছবি-প্রবাস সময়

নিউইয়র্ক প্রতিবেদকঃ ডা. খন্দকার ফেরদৌস। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসক। প্রাণঘাতি করোনা বিপর্যয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি ছিলেন নিউইয়র্কের মানুষের পাশে।

শুধু নিউইয়র্ক নয়, বাংলাদেশের মানুষের পাশেও তিনি ছিলেন অবিচল। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে ইতোমধ্যেই মানুষ জেনে গেছে, তার মানবতার জয়গানের কথা।

গত দু’ মাসের মতো, স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১০ টায়ও করোনায় স্বাস্থ্য ও জনসচেতনা বৃদ্ধিতে তিনি ফেসবুক লাইভ করলেন।

এসময় দু’ মাসের করোনা পরিস্থিতি ও অভিজ্ঞতা এবং নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের কথা বলতে গিয়ে আবেগআপ্লুত ডা. ফেরদৌসের চোখ জলে ভিজে যায়। দু’ চোখ মুছতেই বলে চলেন, করোনায় জীবনবাজি রেখে এগিয়ে চলার গল্প।

মার্চের শুরুর দিকে মাক্স, গ্লাভস শেষ হয়ে গেলে নিজেকে হেল্পলেস মনে করেন তিনি। বিষয়টি সহকর্মী, টিম মেম্বার ও রোগীদের বুঝতে দেননি। নিউইয়র্কের অনেক পরিচিত-অপরিচিতজন, বন্ধু, ডাক্তারের মৃত্যু দেখে প্রতিজ্ঞা করেন মানুষের জন্য কিছু করার।

করোনায় মানুষের এমন অসহায়ত্ব মেনে না নিয়ে, সমাজ দেশ ও বাংলাদেশি মানুষের ভালবাসার কথা ভেবে কিছু করার প্রতিজ্ঞা করেন তিনি। এরপর নিজ উদ্যোগে শুরু করেন নানা কর্মযজ্ঞ। যা নজর কেড়েছে দেশ-বিদেশের নানা মহলে।

শুরুতে অনেকেই বলেছেন, এসব লোক দেখানো। এতে থেমে যাননি তিনি। প্রতিদিন ১৮ ঘন্টা কাজ করেছেন। ঘুমিয়েছেন ৩ থেকে ৪ ঘন্টা। তার শরীরের ওজনও কমে যায় ১২ পাউন্ড।

প্রাণ উজাড় করে দিয়েছেন মানুষের জন্য। গত দু,মাস বিনে পয়সায় রোগী দেখেছেন অজস্র, নিজ উদ্যোগে বিতরণ করেছেন মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গ্লাভস, অবৈধ অভিবাসীদের মাঝে খাদ্য সহায়তা, শিশুখাদ্য সহায়তা, প্রতিদিন ফোনে অসংখ্য মানুষকে দিয়েছেন চিকিৎসা।

সোমবাার এ লাইভে তিনি বলেন, ‘মা ও দেশ একই রকম। একই সমান ভালবাসার। এখন দেশের পরিস্থিতি খারাপ। দেশ অনেক দিয়েছে, দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ঋন পরিশোধ করুন। সবাই স্বাস্থ্য সচেতন হোন। নিউইয়র্কে কাগজপত্রহীন প্রবাসীরা খারাপ অবস্থায় রয়েছে। আরও এক হাজার প্রবাসীকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া চেষ্টা চলছে। যারা এসময়ে পাশে ছিলেন সবাইকে ধন্যবাদ।।’

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিউইয়র্কের সময় রাত ১০ টায় নিয়মিত লাইভে আসলেও এখন থেকে এটি বন্ধ থাকবে। নিউইয়র্কের পরিস্থিতি কিছুটা ভালোর দিকে রয়েছে, সে কারনে এটি সকালে করা হবে। এতে বাংলাদেশের মানুষও দেখে উপকৃত হবেন।

ডা. ফেরদৌস কুমিল্লা দেবীদ্বারে কৃতি সন্তান। পরিবারের প্রায় সবাই যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হলেও তার মন কাঁদে দেশের জন্য। মানুষের জন্য কিছু করার তাগিদ থেকেই বছরে ২/৩ বার দেশে যান তিনি।

নিউইয়র্কের কুইন্সের এলহমাষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত ১২ লাখ ১৩হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।

নিউইয়র্ক প্রতিবেদক/প্রবাস সময় ” ”> ” ”>

সর্বশেষ খবর

সৌদিতে ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

0
  সৌদি আরবে কাজ করার সময় ভবনের ৩য় তলার ছাদ থেকে পড়ে মো. ইউছুপ (২৬) নামে এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহম্পতিবার (৫ অক্টোবর) এ...

জনপ্রিয় খবর