নিজস্ব প্রতিবেদক: সিঙ্গাপুরে কয়েক সপ্তাহে দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে করোনভাইরাসের সংক্রমণ।
বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিসহ এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হন ২৬ হাজার ৮৯১ জন। এরমধ্যে ২৩ হাজারের বেশি অভিবাসী শ্রমিক। মারা গেছেন ২১ জন।
মোট আক্রান্তদের মধ্যে ৮৮ শতাংশ অভিবাসী শ্রমিক।
ডরমেটরিতে ঠাসাঠাসি করে বসবাস এবং সরকারের সামাজিক সুরক্ষা নিদের্শনা মেনে না চলায় এতোবেশি সংখ্যক অভিবাসী আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করছেন দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তবে আশার কথা হচ্ছে, আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যু কম। আর সুস্থ হওয়ার সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, সিঙ্গাপুরে এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৮৯১ জন করোনায় আক্রান্ত হন। এরমধ্যে ২৩ হাজারের বেশি অভিবাসী শ্রমিক। মৃত্যু গেছেন ২১ জন।
এ আক্রান্তের তালিকায় বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিও রয়েছেন ।
সিঙ্গাপুরের শ্রমশক্তিমন্ত্রী জোসেফাইন তেও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “দেশটিতে প্রায় ৩ লাখ অভিবাসী শ্রমিক ৪৩ টি ডরমেটরিতে বাস করছেন।”
ডরমেটরিতে একটি কক্ষে ১০/১৫ জন বাস করছেন। তারা সবাই ব্যবহার করছে একটিমাত্র বাথরুম। খাওয়াও খাচ্ছেন একসাথে। ঘুমানোর সময় দূরত্ব থাকছে মাত্র এক ফুট।
মানছেন না সরকারের নির্দেশনামতো সামাজিক সুরক্ষা দূরত্ব। এসব কারনে তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশটিতে মোট আক্রান্তের মধ্যে ২৩ হাজার ৭৫৮ জন ডরমেটরির বাসিন্দা রয়েছেন।
ইতোমধ্যে সরকার ডরমেটরিগুলো লকডাউন করে, সেখানকার অভিবাসী বাসিন্দাদের অন্যত্র স্থানান্তর করেছেন।
যেসব অভিবাসীরা ডরমেটরিতে বাস করেন না, তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কম।
এমন ৬ লাখ ৬৪ হাজার কর্মীর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭৭ জন।
২৩ জানুয়ারী সিঙ্গাপুরে প্রথম করোনারোগী শনাক্ত হয়। তারা চীন থেকে সিঙ্গাপুরে ফিরছিলেন।
প্রায় ৫৭ লাখ মানুষের দেশ সিঙ্গাপুরে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে চললেও অভিবাসীরা ১ জুন পর্যন্ত লকডাউনে থাকতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক/ প্রবাস সময়/এমআর
” ”> ” ”>