লক্ষ্মীপুর: প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে অবশেষে জেলায় রেড জোন এলাকায় লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। ১৫ জুন থেকে ৩০ জুন এ লকডাউন চলবে।
তবে লকডাউন ঘোষণা নিয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতার কারনে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে।
১৩ জুন জেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা গনবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে লকডাউন ঘোষণা দেয়। পরে ১৪ জুন রাত ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, তা প্রত্যাখান করেন বক্তব্য দেন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে।
এছাড়াও ১৪ জুন পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউনের গণবিজ্ঞপ্তি জারী করা হয়নি। ১৫ জুন গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এরআগেই লকডাউন শুরু হয়।
এতে করে বিভ্রান্তিতে থাকা জেলার বাসিন্দারা মঙ্গলবার হাটবাজারে এসে লকডাউনের মধ্যে পড়ে ভোগান্তির শিকার হন।
প্রশাসনের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঘোষিত রেড জোন গুলোতে ১৫ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন চলবে।
জেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া যেসব এলাকাগুলোকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেগুলো হলো-লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১,২,৫ ওয়ার্ড (আংশিক), ৬,৭,১১,১৫ নং ওয়ার্ড।
সদর উপজেলার দক্ষিন হামছাদি, দালাল বাজার, পার্বতি নগর, চন্দ্রগঞ্জ, মান্দারী, বাঙ্গাখাঁ, কুশাখালী।
রায়পুর পৌরসভা, রামগঞ্জ পৌরসভা, কমলনগর উপজেলার চর ফলকন, চর লরেন্স, হাজির হাট, তোরাবগঞ্জ। রামগতি পৌরসভা ও উপজেলার চর আলেকজান্ডার ইউনিয়ন।
এদিকে রেড জোন ঘোষিত এসব এলাকায় ১৫ জুন মঙ্গলবার থেকে পালন করা হচ্ছে লকডাউন। এসব এলাকায় ঔষধের দোকান ছাড়া সকল দোকান-পাট, শপিংমহল, ছোট যানচলাচল ও বন্ধ থাকবে।
এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলা,ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে চলাচল করতে পারবেনা এবং সম্পন্নভাবে লকডাউন থাকবে। ঘর থেকে বের হতে পারবেনা বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এদিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সোমবার রাত ১১টার দিকে কিছু ব্যবসায়ী লকডাউনের ঘোষনা জানতে পারলেও বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা বিষয়টি না জানায় সকালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে এসে পড়েন নানা বিড়ম্বনায়।
যদি সত্যিকার অর্থে লকডাউন বাস্তবায়ন করে প্রশাসন, তাহলে তাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা থাকবে। কিন্তু কাগজে কলমে লকডাউন দেখতে চায় না ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮০জন। প্রাণ হারিয়েছেন ৯জন।
নিজস্ব প্রতিনিধি/লক্ষ্মীপুর/এমআর
” ”> ” ”>