রামগঞ্জে সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে পরীর প্রতারণা

প্রকাশঃ

ফেসবুকে চ্যাটিং কিংবা মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদ পাতেন তিনি। টার্গেট করেন উঠতি বয়সের যুবক, চাকরিজীবী, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতাকর্মী।

তিনি কখনো সরকারি কর্মকর্তা, আবার কখনো অবিবাহিত যুবতী। সমাজের হতদরিদ্র নারী পুরুষও রয়েছেন তার প্রতারণা জালে। নানা ফাঁদে হাতিয়ে নেন টাকা।

পরী বেগম নামে এমন এক নারীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায়।

অভিযোগ রয়েছে, সুন্দর চেহারা ও ভাল বাচনভঙ্গিকে পূঁজি করে রামগঞ্জ শহরের একটি প্রভাবশালী সিন্ডেকেটের শেল্টারে পরী বেগম বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।

প্রভাবশালী ওই সিন্ডিকেটের ভয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে নি:স্ব হওয়া মানুষ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। পরী বেগমের নানান প্রতারণার খবর এখন টক অব দ্য রামগঞ্জে পরিণত হয়েছে।

পরীর অশালীন ও প্রতারণার কর্মকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ভুক্তভোগী শিরীন আক্তার নামে এক গৃহবধূ বৃহস্পতিবার রামগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহানের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরি বেগম ওরফে ফাতেমা আক্তার পরী, রামগঞ্জ পৌরসভার নন্দনপুর গ্রামের ইম্মত আলী ভূঁইয়া বাড়ির আলমগীর হোসেনের স্ত্রী।

স্বামী রাজমিস্ত্রি আলমগীর বেশ কয়েকবার তার স্ত্রীর বেপরোয়া অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেও দফায় দফায় নিজেই হেনস্তা হয়েছেন।

এছাড়া পরী বেগম সম্প্রতি রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডীপুর ইউনিয়নের বেচারাম বাড়ির শিরীন আক্তারসহ ২৩ জন দরিদ্র অসহায় নারীর কাছ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরিচয়ে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও নতুন ঘর করে দেয়ার নাম করে সহজ সরল মহিলাদের কাছ থেকে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

বেশ কয়েকদিন আগেও রামগঞ্জ পৌরসভার সাতারপাড়া গ্রামের মিয়া বাড়ির জেসমিন আক্তার কাছ থেকে ৩ হাজার, সুফিয়া বেগমের কাছ থেকে ৮ হাজার, একই গ্রামের মিয়ার বাড়ির সোহাগী বেগমের কাছ থেকে ১০ হাজার, নাসরিন আক্তারের কাছ থেকে ৩০ হাজার।

সুমা আক্তার থেকে ৭ হাজার, আকলিমা আক্তার থেকে ৭ হাজার, বাচ্চু মিয়ার কাছ থেকে ৬ হাজার সহ পার্শ্ববর্তী আবদুল করিম বেপারী বাড়ির, জয়নাল আবেদিন বেপারী বাড়িরসহ অসংখ্য নারী-পুরুষের কাছ থেকে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও নতুন ঘর করে দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে পরী বেগম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। শিরিন বেগম ইউএনও অফিসে যে অভিযোগ করেছে তাও পুরোপুরি সত্য নয়।

শিরিন আমাকে মাত্র ২ হাজার ৫শ’ টাকা দিয়েছে। বাকি টাকা সে আত্মসাৎ করে আমাকে দোষারোপ করছে।’

এ ব্যাপারে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান, ফাতেমা আক্তার পরীর বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের জন্য সমাজসেবা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

তদন্ত শেষে পরীর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও তার প্রতারণার বিষয়ে আরো বিস্তারিত খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিনিধি/লক্ষ্মীপুর/এমআর ” ”> ” ”>

সর্বশেষ খবর

সৌদিতে ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

0
  সৌদি আরবে কাজ করার সময় ভবনের ৩য় তলার ছাদ থেকে পড়ে মো. ইউছুপ (২৬) নামে এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহম্পতিবার (৫ অক্টোবর) এ...

জনপ্রিয় খবর