করোনাভাইরাসের কারনে এবার ঈদুল আযহায় লক্ষ্মীপুরের মেঘনা পাড়ে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানেনি পর্যটকরা।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাজারও পর্যটকের ঢল নেমেছে মেঘনাপাড়ের পর্যটন এলাকায়। এতে করে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
তবে প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করলেও, জনসমাগম বন্ধ রাখতে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
ফলে ঈদের পর দিন জেলার রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার বেড়িবাঁধ, কমলনগর উপজেলার মতিরহাট মাছ ঘাট, সদরের মজুচৌধুরীর ঘাট ও রায়পুর উপজেলার চরবংশির আলতাফ মাষ্টারের মাছ ঘাটে মানুষের উপছে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
জেলার রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার বেড়িবাঁধ গত কয়েকবছর থেকে পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। এখানে বেড়াতে এসে স্থানীয় ও দূর-দূরান্তের পর্যটকরা এটাকে মিনি কক্সবাজার হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। এবার করোনার কারনে এখানে ঈদে বা ঈদের পর জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানেনি পর্যটকরা। গত কয়েকবছরের মতো এবারও এখানে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
রায়পুর উপজেলার শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরের উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের আলতাফ মাষ্টারের মাছ ঘাট। এখানে ডানে-বাঁয়ে বালু চিকচিক করা স্থলভূমি থাকলেও সামনে শুধু রুপোর মতো চকচকে পানি।
মেঘনার রূপ মাছঘাট এলাকায় বিস্ময়-জাগানিয়া। একটু পরপর মেঘনার ঢেউ কূলে আঁছড়ে পড়ছে। খানিক পরপর মাছ ধরার ট্রলার ছুটে যাচ্ছে। তীরে সব ভ্রমণপিপাসুদের ভিড়। তাঁদের কেউ কেউ মাছ ধরার নৌকা দেখে মাছ কেনার জন্য এগোচ্ছেন। দরদাম ঠিক থাকলে অনেক পর্যটক মাছ কিনে নিচ্ছেন।
ঈদের পরদিন রোববার মানুষের ভীড়ে মুখরিত ছিল মাছ ঘাটটি। এখানে ঈদের সময়ে, ৭ থেকে ৮দিন মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি থাকে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
একই চিত্র দেখা গেছে কমলনগর উপজেলার মতির হাট মাছঘাট এলাকায়। নদী ভাঙ্গনে এ ঘাটের অনেকটা বিলীন হলেও, এখনো পর্যটকদের আকর্ষন কমেনি। এবারও এ করোনা সময়ে মানুষের জটলা দেখা গেছে।
জেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের মজুচৌধুরীর হাট। জেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম এ ঘাটে পর্যটকদের আনাঘোনা বছরজুড়ে। বর্তমানে এখানে চলাচলের রাস্তায় ব্যাপক খানাখন্দের কারনে যানবাহনে যাতায়াতে দূর্ভোগ চরমে রয়েছে। তবুও ঈদ উপলক্ষ্যে করোনায় ঘরবন্দী মানুষের ঢল নামে এখানেও।
স্থানীয়রা বলছেন, করোনার কারনে এসব স্থানে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, তা শুধু ঘোষনায় সীমাবদ্ধ ছিল। প্রশাসন তা বাস্তবায়নে তেমন কোন উদ্যোগ নেয়নি। এসব স্থানে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই অসংখ্য মানুষ ভীড় করছে। তাদের অনেকেই আবার মাক্সও পরেননি।
তবে, কয়েকজন পর্যটক বলছেন, করোনার কারনে ঘরবন্দী হয়ে পড়ায় তারা মানষিকভাবে বিপর্যস্ত। সেকারনে মানষিক প্রশান্তি পেতে তারা ঈদে মেঘনা পাড়ে ভ্রমনে এসেছেন। তবে নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে, সামাজিক দূরত্ব ও মাক্স পরার বিষয়ে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন ছিল।
নিজস্ব প্রতিনিধি/লক্ষ্মীপুর/এমআর ” ”> ” ”>