তুরস্ক ও গ্রিসে শক্তিশালী ভূমিকম্পে আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
প্রাথমিকভাবে শুধু তুরস্কে ছয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হলেও এ সংখ্যা বাড়ছে। আহত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ। বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে।
৩০ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে এই ভূমিকম্পের পর ইজিয়ান সাগরের তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে সুনামি। এতে তুরস্কের ইজমির শহরের ও গ্রিসের কিছু রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে।
গ্রিসের সরকারি টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর পূর্বাঞ্চলীয় ইজিয়ান সাগরের সামোস দ্বীপে সুনামির সৃষ্টি হয়েছে। এতে সামোসের বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি গ্রিসের সামোস দ্বীপের কারলোভাসি শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে উৎপত্তি হয়েছে। রাজধানী এথেন্স ও তুরস্কের ইস্তাম্বুলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
গ্রীসে ধ্বংসস্তূপ থেকে এখন পর্যন্ত দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা।
তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেত্তিন কোকা টুইটারে লেখেন, ভূমিকম্পের ঘটনায় ইজমির প্রদেশে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২৫৭ জন। আর এ শহরের মানুষ ভয়ে রাস্তায় চলে এসেছে। তুরস্কের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে ছোটখাটো সুনামি।
এতে দেখা দিয়েছে বন্যা। ইজমিরের মেয়রের বরাত দিয়ে সিএনএনের খবরে বলা হয়, ভূমিকম্পে অন্তত ২০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমির প্রদেশের সেফারিহিসারে শক্তিশালী ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
অন্যদিকে গ্রিসের ভূমিকম্প জরিপ সংস্থা বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।তুরস্কের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা ও গ্রিসের কিছু অংশে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে। ভূমিকম্পের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রবাস সময়/এমআর