৯৭৯ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ ভিয়েতনাম। করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের সঙ্গে উন্নয়নশীল এ দেশটির রয়েছে বিশাল স্থল সীমানা। এশিয়াসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ করোনায় বিধ্বস্ত হলেও ব্যাতিক্রম ভিয়েতনাম।
২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে প্রাণঘাতি করোনায় মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে এখন পর্যন্ত ২৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৪০ জনেরও বেশি সুস্থ হয়েছেন।
সরকারের কৌশলের কারনে রুখে দেওয়া গেছে মারন করোনাভাইরাস। এমনটি জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম।
জনসচেতনতা বৃদ্ধি, তাপমাত্রা স্ক্রিনিং ও দেশীয় কিটে পরীক্ষা, লকডাউন। এ ৩ টি সফল প্রদক্ষেপের কারনেই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে করোনা।
করোনা রোধে জনসচেতনা: জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ থেকে ভিয়েতনাম সরকার করোনাভাইরাস সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতনা বৃদ্ধি শুরু করে।
প্রতিদিন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়, তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী এবং প্রাদেশিক সরকার নাগরিকদেরকে সচেতনায় কাজ করেন।
এ রোগের লক্ষণ এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে বিশদ, সারা দেশে মোবাইল ফোনে জানানো হয়।
তাপমাত্রা স্ক্রিনিং এবং পরীক্ষা:ফেব্রুয়ারী থেকে ভিয়েতনামের বিমানবন্দরে আগত ব্যাক্তিদের শরীরের তাপমাত্রা বাধ্যতামূলক স্ক্রিনিং করা শুরু হয়েছিল।
তাদের যোগাযোগের বিবরণ, ভ্রমণ এবং স্বাস্থ্যের ইতিহাস উল্লেখ করে একটি স্বাস্থ্য আত্ম-ঘোষণা দিতে হয়েছিল। মিথ্যা তথ্য দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
দেশটির সকল বড় শহর, প্রদেশ এবং সরকারি অফিস, হাসপাতাল, ব্যাংক, রেস্তোরা ও অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সসহ ব্যবাসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও স্ক্রিনিং-এ তাপমাত্রা মাপা বাস্তবায়ন করে।
যেসব এলাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে, ওই পুরো এলাকার মানুষের দ্রæত পরীক্ষা করা হয় এবং লকডাউনে স্থাপন করা হয়।
সাশ্রয়ী মুল্যে ৫ মার্চের মধ্যে ভিয়েতনামে তাদের দেশে তৈরী তিনটি পৃথক পরীক্ষার কিটকে বৈধতা দেয়। যার প্রতিটি দাম ছিল ২৫ মার্কিন ডলার থেকে কম এবং ৯০ মিনিটের মধ্যে ফলাফল মিলেছে। পরীক্ষার কীটগুলো ছিল
লকডাউন ও কোয়ারেন্টাইন: বিদেশ থেকে দেশে ফেরা বা বিদেশী নাগরিক সকলকে ১৪ দিনের জন্য পৃথক করে রাখা হয়েছিল এবং তাদের কোভিড ১৯- পরীক্ষা করা হয়।
এমনও হয়েছে একজন করোনায় আক্রান্ত হলে, ওই এলাকার ১০ হাজার মানুষকে লকডাউনে থাকতে হয়েছে।
সন্দেহ নেই, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে যেয়ে, নাগরিকদেরও নানান দূর্ভোগ পোহাতে হয়। ভিয়েতনামের কৌশল উদার আদর্শের সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তবে তারা কাজ করছে। আর সে কারনেই করোনাকে রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে ভিয়েতনাম।
প্রবাস সময়/ এমআর ” ”> ” ”>