লক্ষ্মীপুর: জেলার রায়পুর উপজেলায় এক প্রসূতির সিজারিয়ানের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মাতৃছায়া নামের একটি হাসপাতালের পরিচালকের বিরুদ্ধে।
এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। গত দুই দিন ধরে ফেসবুকে এনিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। এ ঘটনায় দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এছাড়াও ওই হাসপাতালের উপ-ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহমান তুহিনের বিরুদ্ধে অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে একাধিক প্রসূতির ছবি ও ভিডিও তোলা এবং তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জনাতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জাকির হোসেন বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আইনগত ভাবে এটি অপরাধ। কর্তৃপক্ষতো দূরের কথা, অপারেশন থিয়েটারে ডাক্তার ও নার্স ছাড়া স্বজনরাও থাকতে পারে না। তাছাড়া কোন প্রসুতির অনুমোতি ছাড়া ছবি তোলারও নিয়ম নেই। সেটি ফেসবুকে দেওয়া চরম অন্যায়।”
জানা গেছে, গত ২৪ মে রায়পুর মাতৃছায়া হাসপাতালে এক প্রসূতি প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হয়। রাতে ডাক্তার ও নার্স ওই প্রসূতির সিজার অপারেশন শুরু করেন। এ সময় হাসপাতালের উপ-ব্যাবস্থাপনা পরিচালক অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে অপারেরশনের সময় ওই প্রসূতির কয়েকটি ছবি তুলেন।
পরে ওই ছবিগুলো তুহিন তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে। ওই ছবিগুলোর মধ্যে একটি ছবিই আপত্তিকর বলে স্থানীয়রা মন্তব্য করেন।
কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, তুহিনের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক প্রসূতির নারীর অপারেশন থিয়েটারের ছবি ও ভিডিও করার অভিযোগ রয়েছে।
প্রসুতির সিজারের ছবি তুলার ঘটনায় প্রসাশনকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবিদ হাসান তুরছয় নামের এক ফেসবুক আইডিতে বলেন, কোন প্রসূতি মহলিার অপারেশন থিয়েটারে অপারেশন চলাকালীন সময় কর্তপক্ষ উপস্থিতি থাকতে পারেন না। এটা পেশাদার সুলভ ও নিয়মনীতির পারিপন্ত্রি। ছবি তুলে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোষ্টা করা নজির বিহীন ঘটনা।
রায়পুর হাসপাতালের উপ-ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহমান তুহিন বলেন, মহামারী করোনার সময় মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য এই ছবি তুলে পোষ্ট করা হয়েছে।
প্রসূতির মুখের ছবিটি কী ভাবে চলে আসে তা আমার জানা নেই। তবে কয়েকজন এই ছবি নিয়ে সমালচনা করে আমার বিরুদ্ধে পোষ্ট দিয়েছে বিষয়টি আমি দেখেছি।
নিজস্ব প্রতিনিধি/ লক্ষ্মীপুর/এনইউ
” ”> ” ”>