করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমিত দেহ কাঠের চিতায় তুললে ছড়াতে পারে সংক্রমণ। সেই আশঙ্কায় এত দিন শুধু বৈদ্যুতিক চুল্লিতেই দেহ সৎকার চলছিল।
তাতে কুলাতে না পেরে সম্প্রতি কাঠের চিতায় দেহ তোলার অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু তাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে দিল্লি নিগম বোধ শ্মশান কর্তৃপক্ষকে।
দিনভর চিতার আগুন ও ধোঁয়ায় চোখে জ্বালা ধরে গেলেও, সব দেহ সৎকার করে উঠতে পারছেন না শ্মশানকর্মীরা।
জানুয়ারির শেষ থেকে এখনও পর্যন্ত নোভেল করোনার প্রকোপে ভারতে ৬ হাজার ৬৪২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে শুধু দিল্লিতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৭০৮ জন।
তবে মৃত্যুসংখ্যা বেড়ে চললেও, কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাদের মৃত্যু হয়েছে, সব শ্মশানে তাদের দাহ করা যাচ্ছে না। নিগম বোধ ছাড়া অন্য তিনটি শ্মশান এবং দু’টি কবরস্থানেই তাদের দাহ করতে হচ্ছে।
শহরের প্রাণকেন্দ্র লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকাতেই যেহেতু অবস্থিত নিগম বোধ শ্মশান ঘাটটি, বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গ থেকে সেখানেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মৃতদেহ এসে পৌঁছচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে ২৪ ঘণ্টা শ্মশান খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিগম বোধ কর্তৃপক্ষ। ছ’টির মধ্যে তিনটি বৈদ্যুতিক চুল্লি কাজ করছে সেখানে। গত সপ্তাহে কাঠের চিতাতেও করোনায় মৃতদের তোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও সব দেহ সৎকার করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
শ্মশান ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সুমনকুমার গুপ্ত জানান, মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানে ঢোকার মুখে মৃতের পরিবারের সকলকে জীবাণুমুক্তকরার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
সামাজিক দূরত্ব মেনে শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে অনেকটা সময়ও লেগে যায়। তার জন্য উদ্বেগ নিয়েই ঘণ্টার পর ঘণ্টা শ্মশানে অপেক্ষা করতে হয় তাদের। কিন্তু এ ছাড়া অন্য উপায় নেই বলে জানান তিনি।
প্রবাস সময় ডেস্ক ” ”> ” ”>