কুয়েতে গ্রেফতার এমপি পাপুলকে নিয়ে লক্ষ্মীপুরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

প্রকাশঃ

কুয়েতে গ্রেফতার এমপি শহিদ ইসলামকে পাপুলকে নিয়ে তার জন্মস্থান লক্ষ্মীপুরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

চায়ের দোকন থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া, সবখানে শহিদ ইসলাম পাপুলকে নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

বিস্তারিত আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি নিজাম উদ্দিনের প্রতিবেদনে

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুল কুয়েতে গ্রেফতারের খবরে তারপক্ষে অবস্থান নিয়ে একটি পক্ষ বলছেন, তার গ্রেফতারের বিষয়টি ষড়যন্ত্র।

আবার আরেকটিপক্ষ তাকে মানবপাচারকারী ও কালো টাকার মালিক আখ্যায়িত করে বিচার দাবি করেছেন।

দু’পক্ষেই রয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ।

স্থানীয় সময় শনিবার রাতে কুয়েতের সিআইডি আটক করে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলকে।

পরদিন রোববার বিকলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে তাকে নিয়ে দেশ-বিদেশ ও জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।

রায়পুর পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুল হাসান রাসেল তার ফেসবুকে এমপি পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম এমপি’র উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেন, শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতে গ্রেফতার সম্পর্কিত যে তথ্য গণমাধমে এসেছে তা ঠিক নয়।

তিনি সেখানে আসামী নন। কুয়েত সরকার তাদের নিয়ম অনুযায়ী তার ব্যবসায়ীক বিষয়ে আলোচনার জন্য সরকারি দপ্তরে ডেকে নেয়।

রায়পুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুল আলম মিন্টু সাংসদ পাপুলকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুকে লিখেছেন, ঢাকায় ঘটা করে মিডিয়া প্রতিষ্ঠানে দেয়া অনুদান কাজে আসলো কী? অথচ এখন বিপদে পাশে কিন্তু সেই অবমূল্যায়িত রায়পুরের মিডিয়া কর্মীরা।

ওই প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন ভূঁইয়া দুলাল লিখেছেন, ‘কৃতজ্ঞতা বোধ যাদের নাই, আর যারা জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন। তারাই দেখছি উল্লোসিত। হাজারো মানুষের দোয়া আছে, আমাদের পাপুলের সাথে ইনশাল্লাহ।’

সুমন ভূঁইয়া নামে রায়পুরের এক বাসিন্দা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রের এমপি পাপুলের পারিবারিক তথ্যমতে এবং ফেসবুকে চামচাদের পোষ্ট সব মিলিয়ে বুঝলাম, কুয়েতে সরকার প্রধান এমপি পাপুলকে তার বাসায় দাওয়াত দিয়েছে।

আর কিছু টাকা ধার চেয়েছে। কুয়েত সরকার অভাবে আছেন। আরও বলেছে পাপুল হুজুর আমার দেশের সবচাইতে বড় মসজিদে আপনি জুমার নামাজ পড়াতে হবে।’

এছাড়াও তার পক্ষে-বিপক্ষে অসংখ্য পোষ্টে সরব ফেসবুক।

বিভিন্ন সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, চার বছর আগেও, পাপুলকে লক্ষ্মীপুর তো দূরের কথা, তার নিজ এলাকা রায়পুরের কেরোয়া ইউনিয়নের বাসিন্দারাও চিনতেন না।

জেলার রাজনীতিতে তাঁর কোন পদ পদবী না থাকলেও ‘উড়ে এসে জুড়ে’ বসে নাটকীয়ভাবে টাকার জোরে ও ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয়, কেন্দ্রীয় নেতাদের আর্শিবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর-সদর আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

পরে একইভাবে তার স্ত্রীকেও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য করা হয়।

প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েতে মানব পাচার ও মুুদ্রা পাচারে অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। গত শনিবার কুয়েত সিটির মুশরিক এলাকার বাসা থেকে পাপুলকে আটক করে সিআইডি।

পরে তার কোম্পানীতে কর্মরত পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগ ও স্বাক্ষ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় এবং রিমান্ডের আবেদন করলে তা মঞ্জুর করে আদালত।

ওই পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগ, পাপুল কুয়েতে যেতে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩ হাজার দিনার ও প্রতিবছর ভিসা নবায়ন করতে সাংসদ পাপুলকে বাড়তি টাকা দিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি/লক্ষ্মীপুর/এমআর

” ”> ” ”>

সর্বশেষ খবর

সৌদিতে ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

0
  সৌদি আরবে কাজ করার সময় ভবনের ৩য় তলার ছাদ থেকে পড়ে মো. ইউছুপ (২৬) নামে এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহম্পতিবার (৫ অক্টোবর) এ...

জনপ্রিয় খবর