বাংলাদেশি প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে করোনাভাইরাসের টিকা (ভ্যাকসিন) আবিষ্কারের দাবি করেছে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড।
কোম্পানীর দায়িত্বশীলরা বলছেন, প্রতিবন্ধকতার শিকার না হলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাজারে টিকা আনতে পারবেন। প্রথম ধাপে ৫০ থেকে ৭০ লাখ টিকা উৎপাদন করবেন তারা।
আর তাদের আবিষ্কৃত টিকা কমদামে বাজারে ছাড়া হবে। যেন গরীব মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি অপারেশন্সের ম্যানেজার ও ইনচার্জ এবং টিকা আবিষ্কারের গবেষক দলের সদস্য মোহাম্মদ মহিউদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, করোনাভাইরাসের এ টিকা আবিস্কার করতে কাজ ১০-১২ জন সদস্য।
গবেষক দলের প্রধান ড. কাকন নাগ (গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের সিইও) ও ড. নাজনীন সুলতানা (গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের সিওও)।
ইতোমধ্যে অ্যানিমেল (প্রাণী) মডেলে টিকা কাজ করেছে। এখন হিউম্যান (মানবদেহে) মডেলে কাজ করতে হবে। হিউম্যান মডেলে কাজ করে ‘ডেজ ওয়ান’ একটা স্টাডি এবং ‘ডেজ টু’ একটা স্টাডিজ আছে।
‘ডেজ টু’ স্টাডির মধ্যে কয়েকবার ডোজটা দিতে হবে, দিলে অ্যান্টিবডি গ্রো (গড়ে উঠবে) হবে, যে অ্যান্টিবডি করোনাভাইরাস মেরে ফেলতে পারবে। অর্থাৎ সেটাকে নিউট্রিলাইট করতে পারবে। হিউম্যান মডেলের কাজ বাকি আছে।
এটা নির্ধারণ হলে এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর প্রথম ধাপে ৫ থেকে ৭ মিলিয়ন (৫০ থেকে ৭০ লাখ) টিকা তৈরির সক্ষমতা রয়েছে।
এছাড়াও এক্সপোর্ট (রফতানি) করা হবে বিদেশে। টিকাটি বাণিজ্যিকীকরণ হলে, তখন এমনও হতে পারে সরকার জনগণকে ফ্রি করে দেবে কিংবা স্বল্প দামে দিচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে এই টিকা জনগণকে ফ্রি দেয়া হবে। আর সরকারের কাছ থেকে তারা উৎপাদন খরচ নেবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশীদ বলেছেন, ২০১৫ সালে প্রায় ৫-৬ শ’ কোটি টাকা খরচে তারা ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেন। ওই ল্যাবে ২৬ জন বিজ্ঞানী কাজ করেন। তাদের মধ্যে সাতজন পিএইচডি করা।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি অপারেশন্সের ম্যানেজার জানান, এনসিবিআইয়ে (যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন) ভাইরাস ডাটাবেজে ৫ হাজার ৭৪৩টি জিনোম সিকোয়েন্স জমা হয়েছে।
তার মধ্যে বাংলাদেশেরও ৭৬টি জিনোম সিকোয়েন্স আছে। সবগুলো সিকোয়েন্স তারা স্ক্রিনিং করে টিকার টার্গেট সেট করেছেন। সেই অনুযায়ী টিকা তৈরি করেছেন। যাতে সব ধরনের করোনাভাইরাসের জন্যই এটা কার্যকর হয়।
এখন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের গাইডলাইন অনুযায়ী পরবর্তী ধাপগুলো নিয়ে কাজ করা হবে। এ টিকা ওষুধ প্রশাসনের মাধ্যমে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হবে।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর টিকা বাণিজ্যিকীকরণের জন্য অনুমোদন দিলে উৎপাদনে শুরু হবে। বাজারে চলে আসবে টিকা।
নিজস্ব প্রতিবেদক/এমআর
” ”> ” ”>