যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট (নবম সার্কিট) অ্যাসাইলাম প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এক রায় ঘোষণার পর ডিটেনশন সেন্টার থেকে ৮৩ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
গত ২৫ জুন এ রায় দেয়া হয়। এর ফলে অ্যাসাইলাম প্রার্থীরা আর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে বা আপিল করতে পারবেন না।
এ রায়ের রাতেই আমেরিকার সীমান্তবর্তী স্টেটগুলোর ডিটেনশন সেন্টারে থাকা ৮৩ বাংলাদেশিকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে পাঠানো হয়েছে।
ড্রামের অর্গানাইজিং ডিরেক্টর কাজী ফৌজিয়া জানান, যে ৮৩ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরৎ পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে ২০ জনের করোনাভাইরাস রয়েছে। এর আগেও বাংলাদেশে পাঠানোর উদ্দেশ্যে তাদের বিমানেও তোলা হয়েছিলো কিন্তু কোন ডকুমেন্ট না থাকায় তাদের পাঠানো সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, তাদের ১০ ঘন্টা বিমানের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছিলো। এরই মধ্যে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করলে ৮৩ জন বাংলাদেশির ডকুমেন্ট পাঠানো হয়। ডকুমেন্ট পাওয়ার সাথে সাথেই তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
যাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়, এদের মধ্যে বৃহত্তর নোয়াখালির মামুন, সালাউদ্দিন, সাহেদ, মুন্না, জাহের, পেয়ার হোসেন প্রমুখ।
এছাড়াও যাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে, তারা নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, চাঁদপুর এবং গাজীপুর জেলার বাসিন্দা। এর মধ্যে বৃহত্তর নোয়াখালীর লোকজনই বেশি।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সর্বস্ব খুইয়ে তারা বিভিন্ন দেশ ঘুরে, জেলজুলুম ভোগ করে আমেরিকায় এসেছিলেন। যারা ফিরে গেছেন, তাদের পরিবার এখন নিঃস্ব।
যে কারণে অনেকেই মন্তব্য করেন, শেষ সম্বল ভিটেমাটি বিক্রি করে দালালকে অর্থ দিয়ে এভাবে আমেরিকায় আসার কোন অর্থ হয় না।
প্রবাস সময় ডেস্ক