লক্ষ্মীপুর: চন্দ্রগঞ্জ থেকে রায়পুর ৪০ কিলোমিটার। উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের আঞ্চলিক মহাসড়ক এটি। এ রাস্তায় চলাচল চাঁদপুর-ভোলা-বরিশাল-চৌমুহনী-ঢাকা চট্রগ্রামসহ ২১টি রুটের যানবাহনের।
ব্যস্ততম হওয়ায়, এ রাস্তাটি ফোর লেন করার জন্য এলাকাবাসী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের দাবি দীর্ঘদিনের।
এক বছর আগে রাস্তার প্রায় ৪০ কিলোমিটার সংস্কার করা হয়। সংস্কারের আগে রাস্তার দু’পাশে থাকা কয়েক হাজার গাছ কেটে ফেলা হলেও, সংস্কারের এক বছরেও নতুন করে আর গাছ লাগানো হয়নি।
এতে করে বাড়ছে সড়ক দূর্ঘটনা। গত এক বছরে এ রাস্তায় দূর্ঘটনায় অর্ধ শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী বলছেন, সহসা রাস্তাটি ফোর লেনে উন্নিত করার সরকারের পরিকল্পনা না থাকলে, যেন দ্রুত রাস্তার দু’পাশে গাছের চারা লাগানো হয়।
এতে করে উপকূলীয় এ জেলায় এদিকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে, অন্যদিকে নিরাপত্তা বেষ্টনির ফলে দূর্ঘটনায় প্রাণহানি কমবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর (এলজিইডি) রায়পুর উপজেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, সড়কটি আগে ১৮ ফুট চওড়া ছিল। এখন তা ২৪ ফুট করা হয়েছে। এছাড়াও দুই পাশে ছয় ফুট সম্প্রসারণের পাশাপাশি, পাঁচ ফুট করে আরও ১০ ফুট মাটি ফেলে ভরাট করা হয়েছে।
রায়পুরের বর্ডার বাজার থেকে লক্ষ্মীপুর সদরের গো হাটা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার নির্মাণের জন্য ৫৮ কোটি ৯৪ লাখ ১৩ হাজার ৫৭ টাকা বরাদ্দ হয়।
লক্ষ্মীপুরের গো হাটা থেকে চন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ৭৪ কোটি ১৬ লাখ ৯৭ হাজার ৬৯ টাকা বরাদ্দ হয়। এর মধ্যে নতুন মাটি ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ রয়েছে আট কোটি ১৯ লাখ ২৭ হাজার ১১৮ টাকা। এর মধ্যে নতুন মাটি ব্যবহারের জন্য ১০ কোটি ৪০ লাখ ৬৫ হাজার ৯৩৯ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
পৃথক কাজ দুটি সম্পাদন করেন কুমিল্লার রানা বিল্ডার্স, হাসান বিল্ডার্স ও মেসার্স সালেহ আহমেদ। সংস্কারের আগে রাস্তাটির দু’পাশে সারি সারি বিশাল বৃক্ষে পরিণত ছিলো। রাস্তা প্রসস্ত করতে আকাশমনি শিশু রেইন ট্রিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৩০হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়।
বুধবার (২২ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, সড়ক প্রসস্ত করন ও সংস্কার কাজ একবছর আগে সম্পন্ন হলেও নতুন করে আর গাছ লাগানো হয়নি। ফলে দু’পাশে কলা ও কচু গাছে ছেয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান,এ সড়কে ২১ টি রুটের মানুষ ও যানবাহনের চলাচল রয়েছে। দুপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনি না থাকায় যানবাহন সড়কের পাশের খালে বা পুকুরে পড়ে দুর্ঘটনা বাড়ছে।
রাখালিয়া গ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল কাদের ও খাইল্লারপুল এলাকার শিক্ষার্থী মোঃ জয়নাল বলেন, তাঁদের এলাকার এক কিলোমিটার অংশে সড়কটি খুবই ঝুকিপুর্ণ। গত এক বছরে মারাত্নক দুর্ঘটনায় পন্যবাহী ট্রাক ও বাস খালে পড়ে শিশু-নারীসহ ১৫ ব্যাক্তি মারা যান ও জখম হয়েছেন ৩০ জন।
এলজিইডির রায়পুর উপজেলা প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ বলেন, ‘সড়কটি সংস্কারের পর দুই পাশে গাছ লাগানোর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
নিজস্ব প্রতিনিধি/লক্ষ্মীপুর/এমআর ” ”> ” ”>