অভিযুক্ত ছেলে মো. বদরোদ্দৌজা রামগঞ্জ পাট বাজার দারুস সালাম জামে মসজিদের ইমাম।
বৃহস্পতিবার ভোরে রামগঞ্জ পৌর শহরের কাঠবাজার সড়কের একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম করপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ আফতাব উদ্দিন (৯০) ৪২ বছর শিক্ষককতা করেন কচুয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায়। ৯ ছেলের মধ্যে ৪ ছেলে ঢাকা ও প্রবাসে। ছোট ছেলে বদরোদ্দৌজা (৩২) স্থানীয় পাটবাজার দারুস সালাম জামে মসজিদের ইমামতি করেন। অন্ধ বাবা ও অসুস্থ মা তার সাথেই থাকেন।
রক্তাক্ত বৃদ্ধ আফতাব উদ্দিন বলেন, Ôবুধবার ফজরের নামাজের পর বাড়ির সম্পত্তি লিখে দেয়ার কথা বলায় আমি অন্য ভাইদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলি। সাথে সাথে আমার হাতের লাঠি দিয়ে আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে। এ সময় আমি তাকে অনুনয় বিনয় করেও রক্ষা পাইনি।Õ
ররক্তাক্ত বৃদ্ধেরর স্ত্রী জানান, আমরা স্বামী-স্ত্রী আজ সেহেরী ছাড়া রোজা রেখেছি। তার মারধরের সময় আশপাশের বাসার অন্য লোকজন এগিয়ে আসলে ছেলে বদরোদ্দৌজা তাদেরকেও মারার জন্য তেড়ে আসে।
ছেলের মারধরে আহত বৃদ্ধ বাবাব আফতাব উদ্দিনকে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করলে বদরোদ্দৌজার লোকজন তাদের ভয়ভীতি দেখায়।
এদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে রামগঞ্জ পাটবাজার দারুস সালাম জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি শহিদ উল্যা ও তার ছেলে বাবলু জানান, ইমাম বদরোদ্দৌজা মানসিক বিকারগ্রস্থ।
কেন একজন অপ্রকৃতস্থ ব্যক্তিকে মসজিদের ইমাম নিয়োগ করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা আগে বুঝতে পারিনি।
এদিকে স্থানীয় লোকজন উক্ত ইমাম মসজিদে ইমামতি করলেও তিনি গত কয়েক বছরে ৪টি বিয়ে করেছেন। স্ত্রীদের মারধর করায় একে একে সব স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। বর্তমানে তিনি রামগঞ্জ কাঠ বাজারের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইমাম বদরোদ্দৌজা বলেন, ‘আমার হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে দিচ্ছে না তারা (বাবা-মা)। আমি তাদেরকে খাওয়াচ্ছি। আমার মা রান্নায় তেল বেশি খরচ করে।’
রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, আগে বৃদ্ধ মানুষটিকে হসপিটালে ভর্তি করা দরকার, চিকিৎসা দরকার। তারপরে অভিযোগ পেলে ছেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।