বাংলাদেশের একটি মানবাধিকার সংগঠনের হিসেব মতে, দেশটিতে গত চার মাসে ৮৫ জন সাংবাদিক নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) নামের ওই সংগঠনটি বলছে, সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে যেভাবে বাধা দেয়া হয়েছে এবং নানাভাবে হয়রানি ও শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে তা গণমাধ্যমের জন্য অশনিসংকেত।
শুক্রবার (৮ মে) সন্ধ্যায় আসকের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক (অ্যাডভোকেসি এন্ড নেটওয়ার্কিং) আবু আহমেদ ফজলুল কবির স্বাক্ষরিত এবং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত চার মাসে ৮৫ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
এতে আনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘বাংলা টিব্রিউন’ এর কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম সংবাদ প্রকাশের জেরে মাদক বিরোধী অভিযানের নামে তাঁর উপর জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্যাতন ও মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
আসক মনে করে, সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বিশেষত মার্চ-এপ্রিল মাস যেভাবে বাধা দেয়া হয়েছে এবং নানাভাবে হয়রানি ও শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে তা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য অশনিসংকেত।
মানবাধিকার সংস্থাটি থেকে বলা হয়, গত চার মাসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ও ক্রসফায়ারে ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চার মাসে গ্রেফতারের আগে ক্রসফায়ারে মৃত্যু ৬১ জন, গ্রেফতারের পরে ক্রসফায়ারে ২১ জন, গ্রেফতারের আগে শারীরিক নির্যাতন তিনজন, গ্রেফতারের আগে বন্দুকযুদ্ধে দুইজন, কাস্টডিতে অসুন্থ হয়ে একজন, কাস্টডিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। শরীরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতারের পর দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া এ চার মাসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক দুইজনকে গুম করার অভিযোগ উঠেছে।
আসক জানায়, গত ছয় মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে মোট ৫৬ টি। এতে নিহত হয়েছে নয়জন, আহত হয়েছে ৬৪১ জন। সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে ১৮ জন।
এর মধ্যে ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে এবং শারীরিক নির্যাতনে চারজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে ১১ জন, অপহরণের শিকার হয়েছে ১১ জন।
প্রবাস সময়/এনইউ ” ”> ” ”>