আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর। সবার মনে দোলা দেয় ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ গান। আর অসাধারন সৃষ্টি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের।
আজ প্রেম ও দ্রোহের কবি কাজী নজরুলের ১২১তম জন্মবার্ষিকী। সোমবার সকালে সাংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কবির মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে কবির জন্মবার্ষিকীতে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি।
১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম জন্ম গ্রহণ করেন। দরিদ্র পরিবারে জন্মের পর দুঃখ-দারিদ্র্য ছিলো তাঁর নিত্যসঙ্গী। তাঁর ডাক নাম ছিলো দুখু মিয়া।
বাবা কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন। বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের ভারণ-পোষণের জ্যন তিনি শিশু বয়সেই মক্তবে শিক্ষকতা, হাজি পালোয়ানের মাজারে খাদেম, মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজ করেন।
তবে নিজের দুঃখ নিয়ে নয়, তিনি জাতির দুঃখ নিয়ে সব সময় ভাবতেন।
নজরুল ইসলামের গান, কবিতা বাঙ্গালী জাতিকে শুধু আনন্দই দেয়নি, যুগিয়েছে লড়াই-সংগ্রামের অনুপ্রেরণা। যেখানেই অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার, অসাম্য-সেখানেই উচ্চারিত হয় কাজী নজরুল ইসলামের নাম।
নজরুল তাঁর কবিতা, গান ও উপন্যাসে পরাধীন ভারতে বিশেষ করে অবিভক্ত বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা, সামন্তবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশেরবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক/এনইউ