জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশঃ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪তম  মৃত্যুবার্ষিকী আজ। করোনার কারণে সীমিত পরিসরে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে দিনটি।

সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সীমিত পরিসরে শোভাযাত্রা শেষে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয় সমাধিতে।

সকাল সাড়ে দশটায় প্রশাসনিক ভবনে হবে ভার্চুয়াল আলোচনা। বাংলা একাডেমিও নানা আয়োজনে দিনটি পালন করছে।

১৯৭৬ সালে এই দিনে চলে যান জাতীয় কবি। কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সব আনুষ্ঠানিক আয়োজন বন্ধ থাকলেও জাতীয় কবির প্রয়াণ দিবসে কিছু আয়োজন থাকছে। কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। বাংলা একাডেমিও আয়োজন করেছে আলোচনা অনুষ্ঠানের।

নির্মম দারিদ্র্য থেকে অসামান্য প্রতিভায় তিনি অভিষিক্ত হয়েছিলেন। আজীবন বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গি আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠের কারণে তিনি ভূষিত হন ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে। আজীবন সংগ্রাম করেছেন শোষিত মানুষের মুক্তির জন্য।

যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনি জীবনেও। সোচ্চার ছিলেন সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার, কূপমণ্ডূকতার বিরুদ্ধে। তরুণদের কাছে তিনি বিদ্রোহের অনন্ত প্রতীক। সংগীত, নাটক, ছোটগল্প, উপন্যাসসহ সাহিত্যের সব শাখায় অবদান রাখলেও মূলত কবি হিসেবেই তিনি বেশি খ্যাত। তাঁর লেখা গান বাংলা গানে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।

১৯৭২ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ভারত সরকারের অনুমতি নিয়ে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে এসে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়। তাঁকে দেওয়া হয় জাতীয় কবির মর্যাদা।

বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাজী নজরুল ইসলামকে ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে। পরে তাঁকে দেওয়া হয় রাষ্ট্রীয় একুশে পদক। কবির জীবনের শেষ দিনগুলো কাটে তৎকালীন পিজি হাসপাতালে।

কর্মসূচি : জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কবির সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও আলোচনা। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

বাংলা একাডেমি আজ সকাল ১১টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনারকক্ষে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। একক বক্তব্য দেবেন এ এফ এম হায়াতুল্লাহ।

নজরুল ইনস্টিটিউট সকাল ১০টায় আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।

প্রবাস সময়/এমআর

সর্বশেষ খবর

সৌদিতে ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

0
  সৌদি আরবে কাজ করার সময় ভবনের ৩য় তলার ছাদ থেকে পড়ে মো. ইউছুপ (২৬) নামে এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহম্পতিবার (৫ অক্টোবর) এ...

জনপ্রিয় খবর