লক্ষ্মীপুর: প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে জেলায় রেড জোন এলাকায় লকডাউন ঘোষণা নিয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে।
জেলার তিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গনবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্ব স্ব উপজেলায় লকডাউন ঘোষণা করলেও তা প্রত্যাখান করেন জেলা প্রশাসক।
এনিয়ে জনমনে চরম বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৩ জুন এক গনবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমলনগর উপজেলায় লকডাউন ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবারক হোসেন।
ওই গনবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৫ জুন ভোর ৬ টা থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত কমলনগর উপজেলা সম্পন্ন লকডাউন থাকবে।
১৩ জুন অপর এক গনবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৫ থেকে ৩০ জুন একই পর্যন্ত রামগতিতে লকডাউন ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মমিন।
একইভাবে রামগঞ্জ উপজেলায় ১৬ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান।
অপরদিকে রায়পুর পৌরসভায় ১৬ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত একই সময়ে লকডাউন ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী।
গনবিজ্ঞপ্তিটি রায়পুর উপজেলা প্রশাসনের অফিসিয়াল ফেসবুকে পেজে দেয়া হয়। যদিও ওই গনবিজ্ঞপ্তিতে নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীনা চৌধুরীর সাক্ষর দেখা যায়নি।
এছাড়াও করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবদুল মমিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস রিলিজে গণমাধ্যম কর্মীদের লকডাউনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ১৪ জুন সংবাদ প্রকাশিত হয়।
পরে ১৪ জুন রাত ১০ টার দিকে একজন গণমাধ্যম কর্মী জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পালের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান, জেলার কোথাও লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি।
বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে চরম বিভ্রান্তি দেখা দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীদেরও লকডাউন নেই বলে জানান ডিসি।
তবে লকডাউন না থাকার বিষয়টি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গনবিজ্ঞপ্তিতেও জানানো হয়নি। এতে করে করোনা ও লকডাউন নিয়ে জেলা প্রশাসন ‘তামাশা’ করছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিক্ষুব্দ জেলার বাসিন্দারা।
জেলার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির শুরু থেকেই লকডাউন নিয়ে জেলা উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে সমন্বয়হীনতা দেখা গেছে। যার ফলে জেলায় করোনা সংক্রমণ দিন দিন বেড়ে চলছে।
জেলার সচেতন মহল বলছেন, প্রাণঘাতি করোনা বিপর্যয়ের এসময়ে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, ব্যবসায়ী সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতাদের সমন্বয় জরুরী। এসময় লকডাউন নিয়ে এমন সমন্বয়হীনতায় দূর্ভাগ্যজনক।
নিজস্ব প্রতিনিধি/লক্ষ্মীপুর/এমআর ” ”> ” ”>