লক্ষ্মীপুর: আবদুল আজিজ নামে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ বাজারের এক ব্যবসায়ি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
গোলাম ছরোয়ার রিপন নামে ঢাকা হাতিরপুলের এক ব্যবসায়ি কৌশলে আজিজের কাছ থেকে ৫৩ লাখ টাকা নিয়ে সটকে পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
টাকা ফেরত পেতে সমাজপতি, জন প্রতিনিধি ও আইনশৃংখলা বাহিনীর দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ব্যবসায়ি আজিজ।
অভিযোগে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের মৃত আতরের জামানের ছেলে ও চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারের মুদী ব্যবসায়ি আব্দুল আজিজের সাথে পাশের উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের জয়রামপুর গ্রামের শিশু মিয়া ও তার ছেলে গোলাম ছরোয়ার রিপনের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এরই সুবাধে শিশু মিয়া ও তার ছেলে ঢাকার হাতির পুলের ব্যাবসায়ি টাইলস ও স্যানেটারী মালামাল আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান আইমেক্স ট্রেডএন্ড কমার্সের সত্বাধিকারী গোলাম ছরোয়ার রিপনকে গত ২০১৭ সালে মালামাল আমদানী করার জন্য ৫৩ লাখ টাকা প্রদান করেন।
টাকা গ্রহনকালে শর্ত ছিল টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত প্রতিবার মালামাল আমদানী করার পর আজিজকে লভ্যাংশের একটি অংশ প্রদান করবেন।
সেভাবে কয়েকবার লভ্যাংশ প্রদান ও মুল টাকা থেকে সামান্য কিছু টাকা ফেরৎ দেওয়া হলেও বর্তমানে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা ফেরৎ দিচ্ছে না।
ঢাকা হাতির পুলের গোলাম ছরোয়ার রিপনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটিও ইতিপূর্বে বন্ধ করে দিয়েছেন। যে বাসায় স্বপরিবারে বসবাস করতেন সেই বাসাটিও পরিবর্তন করেছে।
এ দিকে গোলাম ছরোয়ার রিপন স্বপরিবারে আমেরিকা চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানাগেছে।
আব্দুল আজিজ অভিযোগ করে বলেন, টাকার জন্য গেলে প্রথম দিকে আজ কাল দিবো দিচ্ছি করে টাকা প্রদানে গড়িমশি করে।
গত কয়েক মাস থেকে ফোন করলে ফোন পর্যন্ত রিসিভ করছেনা। নিরুপায় হয়ে আমি তার চাচা বেঙ্গল মোজাইক এজেন্সীর সত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর আলম এবং উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চৌধুরীর কাছে যাই।
এতে টাকা ফেরৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে তাদের ফোন রিসিভ করা বন্ধ করে দেন। এ ভাবে জন প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ধর্ণা দিয়েও আমি টাকা ফেরৎ পেতে ব্যর্থ হয়েছি।
এ দিকে তার বাবা শিশু মিয়ার কাছে গেলে তিনিও একেক সময় একেক রকম কথা বলে শুধু কাল ক্ষেপন করে যাচ্ছেন। নিরুপায় হয়ে আমি চন্দ্রগঞ্জ থানায় পিতা পুত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন অভিযোগ প্রদানের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এ অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা থানার এস আই সাইফুল জানান, অভিযোগের সত্যতা যাছাই করার জন্য আমি রিপনের সাথে ফোনে কথা বলেছি। সে ঢাকায় অবস্থান করছে। তার পিতার সাথে তাদের বাড়িতে গিয়ে কথা বলেছি। আব্দুল আজিজ টাকা পাওয়ার কথা পিতা-পুত্র উভয়ে স্বীকার করেছেন।
তারা থানায় আসার ব্যাপারে কয়দিন সময় চেয়েছে। টাকা উদ্ধারে পুলিশ আইনানুগভাবে সহযোগীতা করবে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে গোলাম ছরোয়ার রিপনের বাবা শিশু মিয়ার ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তার বাড়িতে গেলেও তার স্বাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি।
নিজস্ব প্রতিনিধি/লক্ষ্মীপুর/এমআর