যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ১৫০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জুন ৮৩ বাংলাদেশিকে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এরা দালালের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ঘুরে মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রমের পর যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত রক্ষী কর্তৃক গ্রেপ্তারের সময়ে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন।
গ্রেফতারকৃতরা এলডিপি, বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মী হিসেবে নিজেদের দাবি করে এসাইলাম আবেদন করেন। এরা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ইমিগ্রেশনের ডিটেনশন সেন্টারেই রয়েছেন।
জানা গেছে, মেক্সিকো সীমান্ত পথে বে-আইনীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারীদের এসাইলামের আবেদন প্রথম ইন্টারভিউতে বিবেচিত না হলেই দ্রুত নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়ার একটি রুলিং ২৫ জুন ইউএস নবম সার্কিট আপিলেট কোর্ট দিয়েছেন।
এতে সেন্ট্রাল আমেরিকার লোকজনের সাথে বাংলাদেশিও বহিষ্কারের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এদের মধ্যে ৮৩ জনকে বহিষ্কারের পর ২৫ জুন দেশে পাঠানো হয়েছে।
এখন আরো ১৫০ জনকে যে কোন সময় বিমানে উঠিয়ে দেয়া হবে। তবে এর আগে সংশ্লিষ্ট সকলের জাতীয়তা নিশ্চিত হতে হবে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে।
দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার শামীম আহমদ জানান, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি থেকে প্রায় সময়েই আটক বাংলাদেশিদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়।
তারা বাংলাদেশের নাগরিক কি না সেটিও নিশ্চিত হতে চায়। ইতিপূর্বে ৮৩ জনকে বহিষ্কারের পর হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট থেকে আর কোন চিঠি এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
প্রবাস সময় ডেস্ক