লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের উপ নির্বাচনের ভোট কেন্দ্রে শিশু কিশোরদের জাল ভোট দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া ভোট কেন্দ্রে যেতে পথে পথে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। এদিকে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
সকাল ৯টার দিকে লতিফপুর ও দেওপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে যুবলীগ নামধারী স্থানীয়
চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী রাসেল ওরফে গ্যারেজ রাসেল ও তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা ভোটারদের বাধা দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বয়স্ক ভোটার জানান, তাদের গালি গালাজ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্রে যেতে বাঁধা দেয় রাসেল এ তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা।
এতে করে নৌকা ও ধানের শীষের সমর্থক এবং সাধারন বেশ কয়েকজন ভোটার ভয়ে ভোট না দিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
অপরদিকে লতিফপুর কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর ভোটারদের কেন্দ্রে নেয়ার সময় ভোটারবাহী একটি অটোরিকশা ভাংচুর করা হয়।
বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তোফায়েল আহম্মদ অভিযোগ করেন, বহিরাগতরা ভোট কেন্দ্রের আশেপাশে অবস্থান নিয়ে প্রভাব বিস্তার করছে।
এছাড়া তদর সমর্থিত ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা এবং নাজেহাল করতেছে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর লোকজন।
অন্যদিকে সকাল থেকে ওই কেন্দ্রে স্থানীয় যুবলীগ নেতা রিংকুর নেতৃত্বে কিশোরদের সাথে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সকাল পৌনে ১১ টার দিকে দেওপাড়া কেন্দ্রে ভোটার লাইনে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে শিশু কিশোর অপ্রাপ্ত বয়স্কদের।
এ সময় ম্যাজিষ্ট্রেটেটের গাড়ির আওয়ার শুনে দৌড়ে পালিয়ে যায় যায় তারা। পরে ম্যাজিষ্ট্রেট কেন্দ্র ত্যাগ করার সাথে সাথে আবারো তারা লাইনে দাড়িয়ে অবস্থান নিয়ে জাল ভোট প্রয়োগ করে।
স্থানীয়রা জানান, তারা সকলে ছাত্রলীগ কর্মী। এদের মধ্যে অনেকেই ভোটার নয়। ছাত্রলীগ নেতা কাজী বাবলুর নেতৃত্বে তাদের ভোট কেন্দ্র এবং এর আশেপাশে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
নিজস্ব প্রতিনিধি/ লক্ষ্মীপুর/ এমআর
