লক্ষ্মীপুর: জেলায় গত ২৪ ঘন্টা ধরে বিদুৎ না থাকায় কয়েক লক্ষ মানুষ চরম দূর্ভোগে রয়েছে। শনিবার দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জেলার পৌর এলাকাসহ জেলার বিভিন্নস্থান ছিলো বিদ্যুৎহীন। এতে করে এ রমজানে বিভিন্ন বাসা-বাড়ির মানুষের সিমাহীন দূর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর দুইটার দিকে জেলার বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড় হয়। ঝড় আসার সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। ঝড়ে কয়েকটি স্থানে গাছ উপড়ে পড়ে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিদ্যুতের খুঁটি। শনিবার দুপুর ২ টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন জেলার অধিকাংশ এলাকা।
তবে বিদ্যুতের গ্রাহকরা এ জন্য দুষছেন জেলার লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি ও পৌরসভায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
ভূক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, শুক্রবার দুপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে খুঁটি ও সংযোগ তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিকেল থেকেই পরিবেশ অনুকূলে থাকলেও দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎ না থাকায় বাসা-বাড়িতে পানি নেই। রাতে প্রথম রোজার সেহরী খেতে দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ না আসায় প্রাত্যহিক জীবনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।
টানা দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের। বিশেষ করে পানি না থাকায় রান্না করা যাচ্ছেনা। ফ্রিজের মাছ মাংস নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।
মোবাইল ফোনে র্চাজ দিতে না পারায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রথম রমজানের সেহরীর সময়ও ভোগান্তিতে পড়ে তারা। এছাড়া তীব্র পানির সংকটে পড়েছে বাসাবাড়িতে বসবাসরত বাসিন্দারা।
লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আবু তাহের জানান, বিধ্বস্ত লাইন মেরামতে কাজ করা হচ্ছে। যেসব এলাকায় লাইন মেরামত করা হয়েছে, ওইসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।
এব্যপারে লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নিজস্ব প্রতিনিধি/লক্ষ্মীপুর/এমআর